মার্চে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার, রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে।

আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির শর্তপূরণে লক্ষ্যমাত্রার থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে । শর্তানুযায়ী, জুনে নিট রিজার্ভ থাকতে হবে ১৭ বিলিয়নের কিছুটা বেশি যা বর্তমানে রয়েছে ১৬ বিলিয়ন ।

FILE PHOTO: U.S. Dollar banknotes are seen in this illustration taken July 17, 2022. REUTERS/Dado Ruvic/Illustration/File Photo
311

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৩৯ কোটি ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

রোববার (১৩ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। এর আগে গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম-৬) মতে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

আরিফ হোসেন খান বলেন, বর্তমানে রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত ছিল নিট রিজার্ভ জুনের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় থাকতে হবে। আশা করছি, সংস্থাটির শর্ত জুনের মধ্যে পূরণ করতে সক্ষম হবো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির শর্তপূরণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে রয়েছে। সংস্থাটির শর্তানুযায়ী, জুনে নিট রিজার্ভ-এনআইর থাকতে হবে ১৭ বিলিয়নের কিছুটা বেশি যেখানে নিট রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের রয়েছে।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডকার বা ২ হাজার ৫৬৩ কোটি ডলার ছিল। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৪৬ কোটি ৫ লাখ ডলার। তার আগে মার্চের ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৯ লাখ ডলার।

সে হিসাবে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এদিকে বিগত মার্চ মাসে দেশে এসেছে ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

এই বিভাগের আরও সংবাদ